পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে মানিকপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জয়ন্ত চক্রবর্তী, বিরশ্রী ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আব্দুস সবুর ও বারঠাকুরী ইউপির সংরক্ষিত সদস্য শেফা বেগমের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থিতা বাতিল হওয়া মানিকপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জয়ন্ত চক্রবর্তীর ঋণ খেলাপি রয়েছে। অপর সংরক্ষিত সদস্য শেফা বেগমের ভোটার তালিকায় নাম না ও বিরশ্রী ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আব্দুস সবুরের প্রার্থিতা মামলা জনিত কারণে রির্টানিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র অবৈধ করেন। তাছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন সদস্য প্রার্থীর কাগজপত্র অপর্যাপ্ত ছিলো। পরে তাদেরকে কাগজপত্র জমা দেয়ার সময় দেন রির্টানিং কর্মকর্তা। ঐ সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমা দেয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্ধ শেষে ৫ জানুয়ারী ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

যাচাই-বাছাইয়ে চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, বারহাল ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মঞ্জুরুল হামিদ চৌধুরী, জামায়াত নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তাউর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহমদ চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জিয়াউর রহমান চৌধুরী, বিএনপি ঘরানোর প্রার্থী বুরহান উদ্দিন রনি।

বিরশ্রী ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুস সাত্তার, বিএনপি ঘরানো ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম চৌধুরী পানু। কাজলসার ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জুলকার নাইন লস্কর করনাইন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাহাদুর, বিএনপি ঘরানো সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, বিএনপি ঘরানো চেরাগ আলী, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আশরাফুল আম্বিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমাদ হোসেন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আল ইমরান হোসেন, জমিয়তের প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির লস্কর কয়েছ।

খলাছড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কবির আহমদ, জাপার দলীয় প্রার্থী আব্দুল হক, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী আব্দুল গফুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মস্তুফা মাসুক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামরুল হক। জকিগঞ্জ সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আফতাব আহমদ, বিএনপি ঘরানো হাসান আহমদ, জামায়াত ঘরানো সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সালেহ আহমদ, জমিয়তের দলীয় প্রার্থী জামিল আহমদ আশুক।

সুলতানপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী একল, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জাপার প্রার্থী রিমন আহমদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান বুরহান উদ্দিন, জাপা নেতা জালাল উদ্দিন, বিএনপি ঘরানোর হাসান আহমদ, জাপা নেতা আনোয়ার হোসেন হেলালী। বারঠাকুরী ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মহসিন মর্তুজা চৌধুরী, বিএনপি ঘরানোর সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নসির, বিএনপি ঘরানো আক্তার হোসেন রাজু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফিজ জিল্লুর রহমান তাপাদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান আহমদ খাঁন।

কসকনকপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন লস্কর, জাপা প্রার্থী সুলেমান আহমদ লস্কর, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন, জাপা নেতা আব্দুস সাত্তার মঈন। মানিকপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. রায়হান, জাপার দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শিহাব উদ্দিন, বিএনপি ঘরানোর প্রার্থী জাহাঙ্গীর শাহ চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ আহমদ।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকীব জানান, যাচাই-বাছাই শেষে ৫০ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউপির সাধারন সদস্য পদে মোট ৩৪৯ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মোট ৯৭ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ৩ সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ করা হয়েছে। বাতিলকৃত প্রার্থীরা আপিল করে বৈধতা পেলে তারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসবেন।